
Applicant Name:
Md.Emon Khan
Title of Artwork:
ওজোনস্তর সুরক্ষা
Category:
Drawing
Artwork Description
ওজোনস্তর সুরক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় মন্ট্রিল প্রটোকল ও ভিয়েনা কনভেনশনের কর্ম ও সফলতা।
ওজোনস্তরকে সৌরপর্দা বলা হয়ে থাকে কেননা আমাদেরকে যেরকম একটা ছাতি বৃষ্টি হতে রক্ষা করে ঠিক তেমনই ওজোনস্তর সূর্যের অতি বেগুনী রশ্নি হতে রক্ষা করে।
ওজোনস্তরকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার লক্ষ্যে জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি(UNEP)-এর মাধ্যমে ১৯৮৫ সালে স্বাক্ষরিত হয় "ভিয়েনা কনভেশন " আর ওজোনস্তরের ক্ষয়কারী (ওডিএম)নিয়ন্ত্রণের জন্য ১৯৮৭ সালে কানাডার মন্ট্রিল শহরে যে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়,তা মন্ট্রিল প্রটোকল নামে খ্যাত।বাংলাদেশ মন্ট্রিল প্রটোকল স্বাক্ষর দানকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম।এই চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার মন্ট্রিল প্রটোকলে বহুমাত্রিক ফান্ড এর সাহায্যে "ইনস্টিটিউশনাল স্ট্রেংথেনি ফর দি ফেজ আউট অব ওজোন ডিপ্লেটিং সাবস্ট্যান্সেস" নামে প্রকল্পের আওতায় পরিবেশ অধিদপ্তরে "ওজোন সেল" গঠন করা হয়।
মানব ও জীবজগতের অস্তিত্ব রক্ষায় ওজোনস্তরের অবদান অপরীসিম।কিন্তু মানুষের দৈনন্দিন বিভিন্ন কর্মকান্ডের ফলে ওজোনস্তর দিন দিন ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে। ১ম জানুয়ারি ২০১০ হতে CFC, কার্বনটেট্রাক্লোরাইড ও মিথাইলক্লোরোফরম ব্যবহার পর্যায়ক্রমে রোধ করা হয়। এছাড়া ২০১২ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর ঔষধ শিল্প হতে CFC এবং রেফ্রিজারেটর উৎপাদনে ফোম তৈরিতে বোয়িং এজেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত এইচসিএফসি-১৪১ বি এর ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ করা হয়।২০২১ সালে সরকার কিগালি সংশোধনীতে নিয়ন্ত্রনযোগ্য এইচসিএফসি আমদানী ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের লক্ষে একটি এসআর ও জারি করেছে।সরকার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের সহায়তার লক্ষ্যে ১৯৯৮ সালে সর্বপ্রথম এসিআই লিঃ উৎপাদিত এরোসল হতে সিএফসির ব্যবহার রোধ করার জন্য আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করে। এর ফলে CFC এর ব্যবহার প্রায় ৫০% হ্রাস পায়।এর ফলে ওজোনস্তর ক্ষয় থেকে অনেকটাই রেহায় পায়। অবশেষে বলা যায় মন্ট্রির প্রটোকল ওজোনস্তর সুরক্ষা করতে অনেকটাই ভূমিকা পালন করে।।
Evaluate:
My list
Comments:
